ঈদের সময় প্রধান ধর্মীয় অনুশীলনগুলি উপাসনা, স্মরণ এবং কৃতজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এখানে ঈদের সময় মুসলমানদের দ্বারা পালন করা কিছু প্রধান ধর্মীয় অনুশীলন রয়েছে:
1. ঈদের নামাজ (সালাত আল-ঈদ): বিশেষ জামাতে নামাজ আদায় করা, যা সালাত আল-ঈদ নামে পরিচিত, ঈদের সময় একটি মৌলিক ধর্মীয় অনুশীলন। এই নামাজ দুটি একক (রাকাত) নিয়ে গঠিত এবং ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পরপরই করা হয়। মুসলমানরা এই নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ, নামাজের মাঠ বা নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো হয়, যার মধ্যে অতিরিক্ত তাকবির (আল্লাহর মহত্ত্বের ঘোষণা) এবং ইমাম কর্তৃক প্রদত্ত একটি খুতবা (খুতবা) অন্তর্ভুক্ত থাকে।
2. তাকবির এবং যিকর: মুসলমানরা ঈদে আল্লাহর মহিমা ও তাঁর নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উপায় হিসেবে তাকবির (আল্লাহু আকবর - "আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ") পাঠ করে। ফরয নামাযের পর, ঈদের নামাযের সময় এবং ঈদের দিন জুড়ে তাকবীর পাঠ করা হয়। মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য পেতে এবং তাঁর রহমত ও নির্দেশনা অন্বেষণের জন্য স্মরণ (যিকর) যেমন প্রশংসা ও প্রার্থনা (দুআ) এর সাথে জড়িত থাকে।
3. চ্যারিটেবল দান (সদকা): দান (সদকা) ঈদের সময় একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন, যা ইসলামে উদারতা, সমবেদনা এবং সামাজিক দায়িত্বের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। মুসলমানদের ঈদের নামাজের আগে দান করার জন্য উত্সাহিত করা হয়, যা জাকাত আল-ফিতর বা ফিতরানা নামে পরিচিত, এটি নিশ্চিত করার জন্য যে যারা অভাবী তারাও ছুটির আনন্দে অংশ নিতে পারে।
4. কৃতজ্ঞতা ও প্রতিফলন: ঈদ হল মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি চিন্তা করার এবং তাঁর করুণা ও নির্দেশনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সময়। মুসলমানরা আধ্যাত্মিক পুনর্নবীকরণ, ক্ষমা এবং উদযাপনের সময় হিসাবে ঈদের তাৎপর্য স্বীকার করে সারা দিন উপাসনা, প্রতিফলন এবং কৃতজ্ঞতার কাজে নিযুক্ত থাকে।
5. সম্প্রদায় এবং পারিবারিক ব্যস্ততা: সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হওয়া এবং পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো ঈদের সময় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশীলন। মুসলিমরা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের সাথে সালাম বিনিময় করতে, খাবার ভাগাভাগি করতে এবং আনন্দ ও শুভেচ্ছা ছড়িয়ে দিতে যান। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব এবং সামাজিক সংহতির বোধ জাগিয়ে তোলে।
সামগ্রিকভাবে, ঈদের সময় প্রধান ধর্মীয় অনুশীলনগুলি উপাসনা, স্মরণ, দান, কৃতজ্ঞতা এবং সম্প্রদায়ের ব্যস্ততার উপর জোর দেয়। এই অনুশীলনের মাধ্যমে, মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি তাদের বিশ্বাস ও ভক্তি পুনঃনিশ্চিত করে, সহবিশ্বাসীদের সাথে তাদের বন্ধন দৃঢ় করে এবং আনন্দ ও শ্রদ্ধার সাথে ছুটির আশীর্বাদ উদযাপন করে।