কালবৈশাখী ঝড়, যা বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং অসমের মতো রাজ্যগুলিতে বসন্ত কালের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ঘটে থাকে। এই ঝড়গুলির পেছনে নিম্নলিখিত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলি দায়ী:
তাপীয় অস্থিরতা
ভূমির উষ্ণতা:প্রাক-মৌসুমে, ভূমি দিনের বেলায় তীব্র সূর্যালোকের কারণে দ্রুত উষ্ণ হয়ে ওঠে। এই উষ্ণতা আশেপাশের বাতাসকে উষ্ণ করে তোলে, যা তাপীয় বায়ুর স্তম্ভগুলির উত্থান ঘটায়।
শীতল বাতাসের প্রবাহ: বঙ্গোপসাগর থেকে আসা শীতল ও আর্দ্র বাতাস উষ্ণ বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে কনভেকশন প্রক্রিয়াকে আরও উত্তেজিত করে তোলে।
মেঘ গঠন এবং বৃষ্টি
কনভেকশন ও ক্যাপিং লেয়ার: তাপীয় বায়ুর উত্থান ও উপরের বাতাসের শীতল স্তরের সাথে মিশে যাওয়া কারণে শক্তিশালী কাম্মিনিবাস মেঘ তৈরি হয়, যা বজ্রপাত ও প্রচুর বৃষ্টি সৃষ্টি করে।
বায়ু প্রবাহ ও উচ্চাবচ
ফ্রন্টাল ব্যবস্থা: প্রায়শই উষ্ণ এবং শীতল বায়ুর মধ্যেকার সংঘাত এই ধরনের ঝড়ের জন্য আরও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
বজ্রপাত
তাপীয় বিচ্ছিন্নতা: উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা স্তরের পার্থক্য বজ্রপাতের সহায়ক হয়।
কালবৈশাখী ঝড়গুলির প্রাথমিক উপকারিতা হল এই যে এগুলি ভূমির তীব্র উষ্ণতা হ্রাস করে এবং পরিবেশের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে। তবে এই ঝড়গুলির ফলে প্রায়ই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, যা ব্যক্তি ও সম্পত্তির জন্য বিপজ্জনক।