টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে বল টেম্পারিং ধরা পড়লে একজন খেলোয়াড়ের শাস্তি সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) দ্বারা বর্ণিত প্রবিধান এবং জরিমানা অনুসরণ করে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বলের সাথে টেম্পারিংকে ক্রিকেটে একটি গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি বলের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে এবং খেলার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। প্লেয়ার এবং প্লেয়ার সাপোর্ট পার্সোনেলের জন্য আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট বল টেম্পারিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তির রূপরেখা দেয়, যার মধ্যে থাকতে পারে:
1. সাসপেনশন: বল টেম্পারিংয়ে জড়িত খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ বা আইসিসির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দ্বারা নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খেলা থেকে সাসপেনশনের সম্মুখীন হতে পারে।
2.জরিমানা: খেলোয়াড়কে তাদের ম্যাচ ফি এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা করা হতে পারে বা ICC দ্বারা নির্ধারিত আর্থিক জরিমানা পেতে পারে।
3. ডিমেরিট পয়েন্ট: খেলোয়াড় ডিমেরিট পয়েন্ট পেতে পারে, যা আইসিসির শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অংশ। ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হলে ভবিষ্যতের ম্যাচ থেকে স্থগিতাদেশ সহ আরও নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে।
4. ম্যাচ ব্যান: গুরুতর ক্ষেত্রে বা পুনরাবৃত্তি অপরাধের জন্য, খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ বা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
বল টেম্পারিংয়ের জন্য সঠিক শাস্তি অপরাধের তীব্রতা, খেলোয়াড়ের অতীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রেকর্ড এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। আইসিসির আচরণবিধির লক্ষ্য খেলার অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং খেলোয়াড় ও দলের মধ্যে সুষ্ঠু খেলা নিশ্চিত করা।