কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা নিম্নলিখিত পদ্ধতি ও প্রযুক্তির সাহায্য নেন:
1. তথ্য সংগ্রহ
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন, যেমন:
আবহাওয়া উপগ্রহ: এগুলি মেঘের প্যাটার্ন, ঝড়ের সিস্টেম এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করে।
আবহাওয়া রাডার: বৃষ্টিপাত, ঝড়ের গঠন, গতি এবং তীব্রতা নির্ণয় করে।
আবহাওয়া স্টেশন: স্থানীয় আবহাওয়া অবস্থার যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বাতাসের গতি ও দিক নির্ণয় করে।
2. তথ্য বিশ্লেষণ
আবহাওয়া মডেল: বিজ্ঞানীরা আবহাওয়া মডেল ব্যবহার করে পরিবেশের আচরণ অনুকরণ করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের সমীকরণ অনুযায়ী চালিত হয়।
ঐতিহাসিক তথ্য: বর্তমান আবহাওয়া প্যাটার্নগুলি অতীতের ঘটনাবলীর সাথে তুলনা করে সম্ভাব্য ফলাফল বোঝা।
সিনোপ্টিক চার্টিং: বায়ুচাপ, সামনের লাইন, তাপমাত্রা এবং অন্যান্য তথ্য ম্যাপিং করে আবহাওয়ার ম্যাক্রো স্কেল দৃশ্যমান করা।
3. পূর্বাভাস
সংখ্যাসূচক আবহাওয়া পূর্বাভাস (NWP): আবহাওয়া এবং মহাসাগরের বিভিন্ন অবস্থান থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে আবহাওয়ার আচরণ পূর্বানুমান করা হয়। এই মডেলগুলি শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারে চালিত হয় এবং বিভিন্ন সময় ফ্রেমের জন্য পূর্বাভাস প্রদান করে।
এই প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা কালবৈশাখী ঝড়ের আগমনের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হন এবং
জনগণকে সতর্ক করতে পারেন।